নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিতা: মোঃ সিরাজ হাওলাদার, গ্রাম: লক্ষীপুর, ডাকঘর: জালালাবাদ, উপজেলা: মুলাদী, জেলা: বরিশাল এর সহিত গত ০৫-১১-২০১৯ ইং তারিখ ইসলামী শরা শরিয়ত মোতাবেক ২ লক্ষ টাকা দেন মহোরানা কাবিনে আমি মোসাঃ জান্নাত, পিতাঃ মোঃ জুয়েল মৃধা, গ্রাম: বাটামারা ৭ নং ওয়ার্ড থানা মুলাদী, জেলা: বরিশাল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।
বিবাহের পরে কিছুদিন সুখ শান্তিতে আমাদের দম্পত্য জীবন অতিবাহিত হলে একটি পুত্র সন্তান হয় মোঃ ইয়াছিন বর্তমান বয়স অনুমান সারে তিন বছর। জীবন-জিবিকার তাগিদে আমার স্বামী বিদেশ যাওয়ার জন্য জানালে আমি আমার পিতা জুলেয় মৃধার নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা আনিয়া দিলে স্বামী মোঃ রফিকুল ইসলাম বিদেশ চলে যায়। আমাকে আমার পিতার বাড়িতে থাকতে বলে। মাঝে মাঝে তাদের বাড়িতে গিয়ে ২/৩ দিন বেড়াইয়া আসিতে বলে।
আমি তার নির্দেশ মোতাবেক দায়িত্ব পালন করি। বিদেশ থেকে আমার স্বামী দেশে চলিয়া আসিলে আমার পিতার নিকট থেকে নেওয়া টাকা চাইলে সে বিভিন্ন অজুহাত দেয় এবং আমার সাথে খারাপ আচারন করে এবং এক পর্যায় আমাকে তালাকের ভয় দেখায় এবং বলে তোর পিতার বাড়ি থাকছো থাক আমার সময় মতো বাড়ি নিব।
লোক মুখে শুনতে পাই সে অন্য এক মহিলার সাথে পরকীয়া করতেছে। কয়েক মাস পরে আমাকে (রফিকুল আমার স্বামী) মোবাইল ফোনে সোনামদ্দিন বন্দরে যাওয়ার অনুরোধ করিলে আমি পিতার বাড়ী থেকে গেলে আমাকে অনুরোধ ও মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে স্ট্যাম্প ও সাদা কাগজে ৪/৫ স্বাক্ষর নেয় এবং আমার শাশুরী ও ননদ আমাকে বহুবার বিভিন্ন নির্যাতন করিয়াছেন, বলিলে সে বলে আর করবে না। কয়েকদিন পরে জানতে পাই গত ১১/০৪/২০২৫ইং তারিখে সে আমাকে তালাক দিয়েছে এবং সংবাদ শুনতে পাইয়া আমি গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে গত ২৭/০৬/২০২৫ইং তারিখ ঘটনা জানার জন্য তাদের বাড়িতে বসিলে সে তালাকের কাগজ পত্র দেখায়। গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উভইয়ের ও শিশু সন্তান ইয়াছিন এর ভবিষ্যাৎ সুখ শান্তির কথা চিন্তা ভাবনা করে পিছনের ভুল ত্রুটি ভুলে গিয়ে উভয় কে মিলে মিসে ঘর-সংসার করার অনুরোধ জানালে আমি রাজি হই।
আমার স্বামী ১/২ সপ্তাহ পরে জানাবে বলে সে গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য পরে জানাবে বলে বলিলে তারা আমাকে আমার পিতার বাড়ি চলেযেতে বলেন। আমার পিতার বাড়িতে আমার শশুর সিরাজ হাওলাদার ঐ তারিখ হইতে ২বার আমার পিতার বাড়িতে আসিয়া বেড়াইয়া যায় এবং বলে যে ধর্য্যে ধরো সুফল আসবে। বর্তমানে আমার স্বামী বিদেশ যাওয়ার সময় যে টাকা নিয়েছিল তাহার ও কাবিনের টাকা সহ অন্যন্য খরচ না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অজুহাত খুজতেছে।
রফিকুল ইসলামের নিকট উপরোক্ত বিষয় জানার জন্য ফোন দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জনে জানান, উপরোক্ত ঘটনার বিষয় সরজমিনে তদন্ত হলে উভয়েরই সঠিক ঘটনার বিয়ষ জানতে পারবেন যথাযথ কর্তৃপক্ষ।