নিজস্ব প্রতিনিধি
মুলাদী উপজেলাধীন বাটামারা গ্রামের মোঃ আজাদ সরদারের বসত ঘরে বিগত ৫ জুন ২০২৫ ইং গভীর রাতে সিধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকা স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়। চোরের সন্ধান পাওয়ার জন্য প্রশাসনকে না জানিয়ে বিভিন্ন যায়গায় খোজ খবর নেন মোঃ আজাদ সরদার।
অনুসন্ধানের এক পর্যায় স্থানীয় সাহিন খানের ছেলে সাওন সত্তার ফকিরের ছেলে দিদারকে চোরাই মালাল ও নগদ টাকাসহ নিজ ঘরে গননা করার সময় দেখে ফেলে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সাওনকে ২ শত টাকা দেয় দিদার। পরে ঘটনা লোক মুখে জানাজানি হলে ২৭ জুন এলাকা থেকে পালানোর চেষ্টা কালে স্থানীয় জনতা দিদারকে ধরে ফেলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার পাভীন ও তার স্বামী মোঃ ইব্রাহীম মোল্লর হাতে তুলে দেয়।
এ ঘটনা শুনে দিদারের মা মিনারা বেগম ও স্ত্রী সাথী আসিয়া দিদারকে আইনের হাতে না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান ও চুরির সকল মালামাল পরের দিন সকালে ফেরত দেয়ার কথা বলে দিদারকে কাগজে মুচলেকা দিয়ে নিয়ে যান। সেদিন রাতেই চুরির মালামাল ফেরত না দেয়ার লক্ষে দিদারকে মুলাদী হসপিটালে ভর্তি করে এবং মুলাদী থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। পরের দিন মালামাল না পেয়ে আজাদ সরদার স্ত্রী ডালিয়া বেগম থানায় গিয়ে দিদারসহ ৫ জনকে বিবাদী করে অভিযোগ করে। উভয় পক্ষের অভিযোগ পত্র সঠিক তদন্তর জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সফিকুল ইসলাম বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে প্রেরন করে।
এবিষয়ে সাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার মানুষ জানান, দিদার এলাকায় চোরা দিদার নামে পরিচিত। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় চুরি করে সে অনেক জরিমানাও দিয়েছে। কিন্তু বার বার চুরি করে পার পেয়ে যাওয়ায় দিদার এখন এলাকার জন্য আতঙ্ক হয়ে উঠেছে।
বিগত প্রায় দেড় মাস পূর্বে সোমাদ্দিন বন্দর বাজারের মীর ফার্নিচার মার্ট-এর মালিক খোরশেদ মীরের দোকান থেকে ক্যাশবক্স ভেঙে ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে দিদার ফকিরের ভাই জিহাদ ফকির।
কথায় আছে চোরের মার বড় গলা। নিজেকে বাঁচাতে দিদার ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় নানান কূট কৌশল অবলম্বন করে। চুরি করার পর ভূক্তভূগীদের বিরুদ্ধোই সাজানো নাটক করে অভিযোগ দায়ের করে হয়রানির প্রচেষ্টা চালায়।
এলাকাবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, যদি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে চুরির বিচার না করে দিদার ও তার সহযোগিদের ছাড় দেওয়া হয় তাহলে এলাকায় চুরি আরও বেরে যাবে। এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দোষিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানান এলাকার সচেতন মহল।
সর্বশেষ
- মুলাদীতে রেশমা আত্মহত্যার রহস্য প্রশাসনের তদন্ত প্রয়োজন
- মুলাদীতে স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার শিপু আক্তার
- মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি : নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতা
- মুলাদীতে স্বামী কর্তৃক তালাক দেওয়ায় সুবিচারের দাবি স্ত্রী জান্নাতের
- বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ী কর্তৃপক্ষের আইন শৃঙ্খলারক্ষার দায়িত্ব পালনে খুশি এলাকাবাসী
- মুলাদীর সফিপুরে চুরির আতঙ্ক সৃষ্টি করছে দিদার
- বোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সাধারণ মানুষ আনন্দিত
- মুলাদীতে সন্ত্রসী নুর হোসেন গং কর্তৃক লাঞ্চিত দিদার ফকির
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর 4